Header Ads

Header ADS

করোনার দিনগুলোতে (মার্চ ২০, ২০২০)

মার্চ ২০, ২০২০!
করোনা ভাইরাস সমস্ত পৃথিবীকে একটা কারাগার করে ফেলেছে। আমাদের ছোট্ট দেশ এর বাহিরে নয়। ভাবলাম এই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে রাখা দরকার। অনেক বছর পরে এই লেখাগুলো দেখে কেউ একজন আমাদের বাংলাদেশের অবস্থাটাও কল্পনা করতে পারবে। এখন পর্যন্ত সমস্ত পৃথিবীতে প্রায় আট হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে কয়েক লাখ। বড় বড় শহরগুলো লকড ডাউন। আমরা বাংলাদেশীরা সবসময়ের মতোই একটা গা ছাড়া ভাব নিয়ে আছি। যেন আমাদের কিছুই হবে না। আজকে শুক্রুবার। আমি নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছি। সময় কাটছে ফেসবুকে করোনার আপডেট নিয়ে আর বই পড়ে। বর্তমানে পড়ছি দ্যা মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফেরারি।এই বইয়ের রিভিউ কিছুদিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত দেশের কথা বলি।
করোনা এমন একটা ভাইরাস যা মানুষকে মানুষ থেকে মানববোম্ব বানিয়ে দেয়। আপনি আট দশদিন টেরই পাবেন না আপনার মধ্যে করোনা ভাইরাস আছে। এর মধ্যে আপনি যাদের সাথেই মিশবেন তারাই আক্রান্ত হবে। তারাও আট দশদিন টের পাবে না। তারা যাদের সাথে মিশবে ওরাও আক্রান্ত হবে।চিন্তা করা যায়, কি ভয়াবহ? আজকে বাসা থেকে বের হইনি বলে বাহিরের অবস্থা জানিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল। অফিসে যাওয়ার সময় দেখি ঢাকার রাস্তা ফাঁকা। বৃহস্পতিবারে ঢাকা ফাঁকা ঢাকা ঈদের সময় ছাড়া অসম্ভব ব্যপার। আমার বার বার মনে হচ্ছিলো আমি কোনো জম্বি মুভির সেটে আছি।
এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে ২০ জন আক্রান্ত সরকারি হিসেব মতে। এর কতটা সঠিক কতটা বেঠিক জানিনা। তবে আমাদের সিস্টেম যেরকম, তাতে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। তবু আমাদের দেশের মানুষের টনক নড়ছে না।পত্রিকায় দেখলাম কোন জায়গায় নাকি মানুষ ভীড় করেছে করোনা আক্রান্ত রোগী দেখতে। এদের কে বোঝাবে এই অবস্থার ভয়াবহতা?
এখন বিকেল পাঁচটা।স্বাভাবিক শুক্রুবারের মতো বাস থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। ভয়টা নিজের চেয়ে পরিবারের জন্য বেশী।নিজের মরলে মরলাম কিন্তু অনেকগুলা মানুষকে আক্রান্ত করার কোনো অর্থ হয় না।
আপনারা যে যেখানে আছেন, সাবধানে থাকবেন। পরিবারের সুরক্ষার জন্য হলেও। আমাদের যাদের অফিস এখনো খোলা, তারা খুবই রিস্কে আছে। কিন্তু কি করার? সব বন্ধ করে দেওয়ার বিলাসিতা বাংলাদেশে করা কি আদো সম্ভব? আমাদের অর্থনীতি কি সেরকম অবস্থা আছে? আমার মনে হয় না। তবু যার যার অবস্থানে থেকে সাবধানতাই আমাদের একমাত্র অবলম্বন।
কিছু কিছু আশা জাগানিয়া নিউজ দেখছি।সমস্ত বিশ্ব একযোগে এর চিকিৎসা এবং ওষুধ বের করার চেষ্টা করছে। চীনের উহান, যেখান থেকে এই ভাইরাস তারা খেলা দেখানো শুরু করেছিলো, অলরেডি পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে এসেছে। আশা করি আমাদের সবাই রক্ষা পাবো।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন। এখন সাবধানতাই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আবার দেখা হবে।

-করোনার দিনগুলোতে

কোন মন্তব্য নেই

Terraxplorer থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.