এলোমেলো কথামালা
ভাত ঘুম। সন্ধাবেলায় ঘুম থেকে উঠে থমকে যাওয়া এখন কি সকাল না সন্ধ্যা। বেরসিক এলার্ম বুঝতে চায় না, টাকা কামানোর রেসে সবার যেতে ইচ্ছে হয় না। কারো কারো কাছে এই ছোট সুখই জীবন।
তবু যেন কিসের রেসে নামিয়ে দেয়। ঝড় হোক, বৃষ্টি হোক, হোক কুয়াশায় মোড়া কনকনে কোনও শীতের সকাল, উঠতে তোমাকে হবেই। প্রথমে স্কুলে যেতে হবে এই শান্তনা শুনতে শুনতে যে কলেজে গেলেই জীবন রঙিন। তাড়াতাড়ি বড় হতে বাসনা জাগবে। আর কলেজে গিয়ে শান্তনার সেই চিরায়ত বাণী " মাত্র দুই বছর এরপর আর এত চাপ নেই।" আবার ট্র্যাপ! ক্লাসটেস্ট, প্রেজেন্টেশন আর এসাইনমেন্টের চাপে বান্দা যখন পাগলপ্রায়, তখনই মনে হবে আহা আর তো কিছুদিন এরপর স্বাধীনতা। চাকরি করবো আর নিজের টাকায় মজ মাস্তি! আমাকে ঠেকানের কেউ নেই।
হায় এই কি তবে টাকা কামানোর উপায়? রেসের ঘোড়া হতে হবে? তোমার বন্ধু, তোমার খালাতো ভাই, দেখো এদের কে! এরা কোথায় আর তুমি কোথায়? এই কি তবে সুখ যা ধরার জন্য বড় হতে চেয়েছিলাম? বড় তো হয়ে গেলাম এবার ছোট হওয়ার টোটকা কেউ কি দিতে পারবে? জীবনের বাকি অর্ধেক তবে কি নয়টা পাঁচটার প্রচণ্ড নোংরা চক্রেই ফুরিয়ে যাবে? সৃষ্টিকর্তা মনে হয় হাসতে হাসতে বলছেন হে অভাগা তোর জীবনের মধুরতম সময় দিয়েছিলাম আফসোস করেই পার করে ফেললি। এবার কাঁদিস কেন?
প্রচণ্ডতম ব্যস্ত এই রেসে সাকসেস নামক সোনার হরিণ ধরতে ধরতে বড্ড ক্লান্ত প্রাণ বনলতার কাছে যেয়ে দুদণ্ড শান্তি চায়। বনলতাও সাকসেস ছাড়া শান্তি দিবে না।
সাকসেসের দাঁড়িপাল্লায়ও বড্ড কারচুপি। কেউ বুঝতে চায় না এলার্মবিহীন বৃষ্টিভেজা সকালে ইচ্ছেমত ঘুমতে পারাও অনেক বড় সাকসেস। সাকসেস বাস করে ওই ভদ্রপল্লিতে যেখানে টঙ দোকানের চায়ে আয়েশি চুমুক দেওয়া মানুষটার প্রবেশাধিকার নেই। কি হবে এই সাকসেসের? সাড়ে তিন হাত মাটির নীচেতো এসি নেই।
কোন মন্তব্য নেই