রাজকন্যাকে খোলা চিঠি
রাজকন্যা,
তোমার কি মন খারাপ? ভাবছো এই আসা যাওয়ার মিছিলে তুমিই কেন থমকে থাকা মুখ? জীবন তো এমনি রাজকন্যা। সেই কবে এক স্টেশান থেকে যাত্রা শুরু হলো ঠিকানায় পৌছানোর। আজ এতদিন পেরিয়ে গেল তবু আপন ঠিকানায় ফিরে আসা হলো কই? কেমন একটা শুন্যতা তাইনা? যেন কেউ নেই, যেন কিছু খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত প্রান। প্রতি স্টেশানে কিছু মানুষ উঠে যাচ্ছে কিছু মানুষ নেমে যাচ্ছে। কিসের জন্য? হঠাৎ একটা স্টেশানে থমকে যাওয়া। শেষ বিকেলের হলুদ আলোতে একটা মুখ বড্ড আপন মনে হয়। নেমে পড়তে ইচ্ছে হয়। নেমে পড়াও হয়। লাল কমলার মিশ্রণে আকাশটাকেও যেন তোমার সাথে একমত। তবে কি এই তোমার স্টেশান? হতে পারে নাও হতে পারে। তবে এই মূহুর্তে না হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তোমার মাথা ব্যাথা নেই। একটা উপন্যাস সৃষ্টি করতে হবে যার পাতায় পাতায় কিছু ছন্দ থাকবে।
উপন্যাসের চরিত্রগুলো একে একে কেবলি ফুটে উঠা শুরু করলো, গল্পটা জমতে শুরু করেছে আর তখনি সন্ধ্যা নেমে গেল। আদি কাল থেকেই সন্ধ্যা একটা শুন্যতা সৃষ্টি করে। তুমি খেয়াল করে দেখেছ আলো নেভার ক্ষনে সব কিছু কেমন যেন তাড়াহুড়ো? পশু, পাখি এমনি কি মানুষেরও একটা ভীষন ব্যস্ততা। কিসের ব্যস্ততা বলোতো? আপন ঠিকানায় ফেরার, এ তো সেই আদিম প্রবৃত্তি। আজ তোমার নীড়ে ফেরার তাড়া নেই, তাইতো? ভাবছো এটাইত তোমার ঠিকানা, আপন ঠিকানা। কিন্তু হায়, সেই প্রিয় মুখটার মধ্যে ত ঘরে ফেরার অস্থিরতা। সে তো ট্রেন ধরে ফেললো, তবে তোমারকি এটাও ভুল ঠিকানা? রাজকন্যা, নিজের ভুলের জন্য কষ্ট পাচ্ছো? নাকি অন্যের ঠিকানাটা কেন ভুল তাই তোমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে?
কান্না পাচ্ছে? মস্তিষ্ক তোমাকে ছবি দেখাচ্ছে? কিছু মুহুর্তের সেই নির্মল আনন্দ বেদনার কাব্য, কিছু গল্প, কিছু কবিতা, একটা মস্ত চাঁদ আর নীলচে জোছনা? আরো বেশী কান্না পাচ্ছে? তবে কাঁদো না, মন খুলে কেঁদে নাও। সময়ে নেই, তোমাকে তোমার স্টেশানটা খুঁজতে হবে না? শেষ ট্রেন এখনি এসে পড়বে। প্রানখুলে কেঁদে নাও, যে যা ভাবে ভাবুক না কি আসে যায়? তবে জীবন কিন্তু এমনি। সব স্টেশানেই ট্রেন থামে, সব স্টেশান তোমার নয়।
তবে বুঝবে কি করে তোমার স্টেশান কোনটা? বুঝে যাবে, নিজ বাসার ঠিকানা কাউকে কি দিতে হয়? একটা অনুভুতি হয় না? কিন্তু ওই স্টেশানেও একটা অনুভূতি তো হলোই? হায় বোকা, অনুভূতি সব স্টেশানেই তো হয়। সব বাড়ীর একটা নিজেস্ব গল্পতো থাকেই। তবে নিজের বাসা ছোট গল্প নয়, উপন্যাস। এর শেষ হুট করে হয় না। শত আনন্দ বেদনার মিশ্রিত এক উপন্যাস যার শেষে, তৃপ্তি আসে, ব্যাথা নয়, হাহাকার নয়।
চোখ মুছে নাও, রাজকন্যা। তোমার ট্রেন এসে গেছে। ঠিকানা তুমি পাবেই। চুলটা শক্ত করে বেঁধে বাহিরের দিকে একবার তাকাও। দেখো জোছনায় মোড়া রাত, ঝিঝি পোকা তোমার জন্য অপেরার মূর্ছনা ফোটাচ্ছে। দমকা হাওয়া কেবল তোমার এলো চুল নিয়েই খেলছে না, তোমার ভিতরেও শীতল একটা পরোশ বুলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি আসবে, মুছে দিতে তোমার ক্লান্তি আর বেদনার কাব্য।
কাল সকালে যখন নিজ স্টেশানে নামবে, আমায় মনে রেখ। আমি বলেছিলাম তোমার ঠিকানাটা আসে পাশেই আছে, কেবল একটু অপেক্ষায় দরকার। ভেবো না তোমার হৃদয় ভাঙা, হৃদয় ভাঙে না রাজকন্যা। এটা কেবল গল্প উপন্যাসের বুলি। হৃদয় প্রতি স্টেশানে আরো একটু বড় হয়, আরো একটু ভালবাসতে শেখে। যেন নিজ স্টেশানে ভালবাসার কমতি না হয়।
ভাল থেকো, ভালবাসায় থেকো।
-আমি।
তোমার কি মন খারাপ? ভাবছো এই আসা যাওয়ার মিছিলে তুমিই কেন থমকে থাকা মুখ? জীবন তো এমনি রাজকন্যা। সেই কবে এক স্টেশান থেকে যাত্রা শুরু হলো ঠিকানায় পৌছানোর। আজ এতদিন পেরিয়ে গেল তবু আপন ঠিকানায় ফিরে আসা হলো কই? কেমন একটা শুন্যতা তাইনা? যেন কেউ নেই, যেন কিছু খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত প্রান। প্রতি স্টেশানে কিছু মানুষ উঠে যাচ্ছে কিছু মানুষ নেমে যাচ্ছে। কিসের জন্য? হঠাৎ একটা স্টেশানে থমকে যাওয়া। শেষ বিকেলের হলুদ আলোতে একটা মুখ বড্ড আপন মনে হয়। নেমে পড়তে ইচ্ছে হয়। নেমে পড়াও হয়। লাল কমলার মিশ্রণে আকাশটাকেও যেন তোমার সাথে একমত। তবে কি এই তোমার স্টেশান? হতে পারে নাও হতে পারে। তবে এই মূহুর্তে না হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তোমার মাথা ব্যাথা নেই। একটা উপন্যাস সৃষ্টি করতে হবে যার পাতায় পাতায় কিছু ছন্দ থাকবে।
উপন্যাসের চরিত্রগুলো একে একে কেবলি ফুটে উঠা শুরু করলো, গল্পটা জমতে শুরু করেছে আর তখনি সন্ধ্যা নেমে গেল। আদি কাল থেকেই সন্ধ্যা একটা শুন্যতা সৃষ্টি করে। তুমি খেয়াল করে দেখেছ আলো নেভার ক্ষনে সব কিছু কেমন যেন তাড়াহুড়ো? পশু, পাখি এমনি কি মানুষেরও একটা ভীষন ব্যস্ততা। কিসের ব্যস্ততা বলোতো? আপন ঠিকানায় ফেরার, এ তো সেই আদিম প্রবৃত্তি। আজ তোমার নীড়ে ফেরার তাড়া নেই, তাইতো? ভাবছো এটাইত তোমার ঠিকানা, আপন ঠিকানা। কিন্তু হায়, সেই প্রিয় মুখটার মধ্যে ত ঘরে ফেরার অস্থিরতা। সে তো ট্রেন ধরে ফেললো, তবে তোমারকি এটাও ভুল ঠিকানা? রাজকন্যা, নিজের ভুলের জন্য কষ্ট পাচ্ছো? নাকি অন্যের ঠিকানাটা কেন ভুল তাই তোমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে?
কান্না পাচ্ছে? মস্তিষ্ক তোমাকে ছবি দেখাচ্ছে? কিছু মুহুর্তের সেই নির্মল আনন্দ বেদনার কাব্য, কিছু গল্প, কিছু কবিতা, একটা মস্ত চাঁদ আর নীলচে জোছনা? আরো বেশী কান্না পাচ্ছে? তবে কাঁদো না, মন খুলে কেঁদে নাও। সময়ে নেই, তোমাকে তোমার স্টেশানটা খুঁজতে হবে না? শেষ ট্রেন এখনি এসে পড়বে। প্রানখুলে কেঁদে নাও, যে যা ভাবে ভাবুক না কি আসে যায়? তবে জীবন কিন্তু এমনি। সব স্টেশানেই ট্রেন থামে, সব স্টেশান তোমার নয়।
তবে বুঝবে কি করে তোমার স্টেশান কোনটা? বুঝে যাবে, নিজ বাসার ঠিকানা কাউকে কি দিতে হয়? একটা অনুভুতি হয় না? কিন্তু ওই স্টেশানেও একটা অনুভূতি তো হলোই? হায় বোকা, অনুভূতি সব স্টেশানেই তো হয়। সব বাড়ীর একটা নিজেস্ব গল্পতো থাকেই। তবে নিজের বাসা ছোট গল্প নয়, উপন্যাস। এর শেষ হুট করে হয় না। শত আনন্দ বেদনার মিশ্রিত এক উপন্যাস যার শেষে, তৃপ্তি আসে, ব্যাথা নয়, হাহাকার নয়।
চোখ মুছে নাও, রাজকন্যা। তোমার ট্রেন এসে গেছে। ঠিকানা তুমি পাবেই। চুলটা শক্ত করে বেঁধে বাহিরের দিকে একবার তাকাও। দেখো জোছনায় মোড়া রাত, ঝিঝি পোকা তোমার জন্য অপেরার মূর্ছনা ফোটাচ্ছে। দমকা হাওয়া কেবল তোমার এলো চুল নিয়েই খেলছে না, তোমার ভিতরেও শীতল একটা পরোশ বুলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি আসবে, মুছে দিতে তোমার ক্লান্তি আর বেদনার কাব্য।
কাল সকালে যখন নিজ স্টেশানে নামবে, আমায় মনে রেখ। আমি বলেছিলাম তোমার ঠিকানাটা আসে পাশেই আছে, কেবল একটু অপেক্ষায় দরকার। ভেবো না তোমার হৃদয় ভাঙা, হৃদয় ভাঙে না রাজকন্যা। এটা কেবল গল্প উপন্যাসের বুলি। হৃদয় প্রতি স্টেশানে আরো একটু বড় হয়, আরো একটু ভালবাসতে শেখে। যেন নিজ স্টেশানে ভালবাসার কমতি না হয়।
ভাল থেকো, ভালবাসায় থেকো।
-আমি।
কোন মন্তব্য নেই