Header Ads

Header ADS

কে খুনী? উত্তর জানতে দেখে ফেলুন Barot House সিনেমাটি

Movie: Barot House 
Director: Bugs Bhargava
Language: Hindi
Genre: Mystery Thriller
IMDB: 7.3

আমার অমিত সাদের অভিনয় বরাবরই ভাল লাগে।তার অভিনয়ের মধ্যে একটা স্বাভাবিকতা আছে।মেকি মনে হয় না। এবারও অমিত সাদ আমাকে হতাশ করে নি। Barot House সিনেমায় অমিত বারটের ভূমিকায় তার অভিনয় আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। এছাড়া ভাবনা বারট এর ভূমিকায় মাঞ্জারী ফ্যাডনিসের অভিনয়ও দশে দশ লেগেছে আমার কাছে। তবে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে যাকে সে হচ্ছে আরিয়ান মেঘজি। এই বাচ্চাটাই মালহার বারোটের ভূমিকায় অস্বাভাবিক ভাল অভিনয় করেছে। এই সিনেমাকে অভিনয়ের জন্য ফুল মার্কস দিয়ে দেওয়াই যায়।
বারট হাউজ জি৫ অরিজিনালের একটা নতুন সিনেমা। এই সিনেমার প্রিমিয়ার হয়েছে ২০১৯ সালের আগস্টের ৭ তারিখে। সিনেমাটি মাত্র ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের। 
গল্পটা মধ্যবিত্ত বারট পরিবারের। অমিত বারট আর তার স্ত্রী ভাবনা বারট, তাদের এক ছেলে আর তিন মেয়ে। তাদের সাথে থাকে অমিতের মা এবং ভাই। সিনেমাটা শুরু হয় একটা পূজার অনুষ্ঠান দিয়ে। শুরুর সময় আমি ভাবতেই পারি নি আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।শুরুতে মনে হয় সুখী একটা পরিবারের গল্প শুরু হচ্ছে। হৈচৈ আনন্দের মধ্যে দিয়ে একটা পরিবার পূজার অনুষ্ঠান করছে। বাচ্চাদের অভ্যাস আমরা সবাই জানি। তারা আসলে নিজেদের মতো মেতে থাকতে চায়, খেলতে চায়। বড়দের আচার অনুষ্ঠানের তারা থোড়াই কেয়ার করে। বারট পরিবারের ছোট্ট শ্রেয়ার মাথায় এসেছে সে লুকোচুরি খেলবে। তার চাচাকে বললো আসো লুকোচুরি খেলি। চাচ্চু তার হাত থেকে বাঁচার জন্য বলল তুমি লুকিয়ে থাকো আমি খুঁজতে আসছি। 
শ্রেয়া লুকানোর জায়গা খুঁজতে খুঁজতে তাদের বাসার পাশের একটা খ্রিস্টানদের কবরস্থানে এসে পৌঁছে। এদিকে অনেকটা টাইম পার হয়ে গিয়েছে শ্রেয়াকে দেখা যাচ্ছে না। একটা সময় পরিবারের সবাই লক্ষ্য করে শ্রেয়া নেই।খুঁজা শুরু হয়।পরদিন পাওয়া যায় ছোট্ট শ্রেয়ার লাশ! কিভাবে খুন হল শ্রেয়া? শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। একে একে বের হয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন তথ্য। তদন্তের মাঝেই খুন হয় বারট পরিবারের আরেকটি শিশু কন্যা শ্রুতি। শ্রুতি খুন হয় তাদের বাসায়ই।একই পরিবারের দুই শিশু কন্যা কয়েকদিনের ব্যবধানে মারা গেলে একটা মায়ের জন্য ব্যাপারটা কেমন হবে? মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে মিসেস বারট।
পুলিশের সন্দেহ বারটদের প্রতিবেশী অ্যান্টনিও এবং অমিত বারটের ছোট ভাইয়ের উপর। চলতে থাকে তদন্ত। এর মধ্যে আরেকটা শিশুর খুন। এবার খুন হয় অ্যান্টনিওর বাচ্চা ছেলেটা। একে একে খুন হতে থাকে একটার পর একটা শিশু। তাও কি নিষ্ঠুর ভাবে। শেষ খুনটা হয় পাটায় পিষার যে পুঁতা থাকে সেটা ব্যবহার করে। মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। 
খুনিকে ধরার চেষ্টা চলতে থাকে।এই সিনেমা টুইস্টে ভরপুর। ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট কিভাবে শেষ হয়ে যাবে আপনি টেরই পাবেন না। এবং সিনেমাটা পুরো সময় একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি দিবে। কেমন যেন অন্ধকার একটা ব্যাপার আছে সিনেমার মধ্যে। আর শেষে এসে আপনি…… না থাক এটুকু আপনার দেখার জন্য রেখে দিচ্ছি। দেখে মন্তব্য দিতে ভুলবেন না কিন্তু। 
ও হ্যাঁ এটা কিন্তু সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র। তাই যা দেখছেন তা বাস্তব। এই বিশ্বের কোন একটা জায়গায় এমন একটা কিছু ঘটেছিলো। একেবারে শেষে আপনি বলতে বাধ্য হবেন হলি শিট! 
তবে আমি সিনেমাটা দেখার সময় কিছুটা আউলা ঝাউলা হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো অতীতে নাকি বর্তমানে আছি। কি ঘটছে, স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা। মনে হচ্ছে কিছু জায়গায় আর সিনেমাটোগ্রাফি একটু ভাল হতে পারতো যাতে দর্শক একটু পরিষ্কার করে বুঝতে পারে। 
যে ব্যাপারটা আমার বেশী খারাপ লেগেছে তা হচ্ছে পুলিশের তদন্ত। তিন তিনটা বাচ্চা নিষ্ঠুরভাবে খুন হয়ে গেলে পুলিশ এভাবে তদন্ত করে আমার জানা ছিল না। 
যাই হোক এটি একটি মাস্ট ওয়াচ মুভি। আপনার ভাল লাগবেই। আবার দেখা হবে অন্য কোনও মুভি রিভিউ নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত…

স্টে হোম, স্টে সেইফ। দিস টু শ্যাল পাস! 
স্মাইল! 

কোন মন্তব্য নেই

Terraxplorer থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.